Monday, April 27, 2009

অনলাইনেই দেখুন টিভি, শুনুন রেডিও

অনেকেই অনলাইনে টিভি দেখতে চান বা রেডিও শুনতে চান। এ জন্য কয়েকটি লেখাও দেখেছি। কিন্তু তারা মনে হয় কিছুতেই সমাধান পাচ্ছিলেন না।তাদের জন্য বলছি এবার অনলাইনেই দেখুন টিভি, শুনুন রেডিও। এজন্য আপনার দরকার হবে একটি সফটওয়্যার। সফটওয়্যারটির নাম অনলাইন টিভি প্লেয়ার।
এটি ডাউনলোড করুন http://www.onlinetvplayer.com থেকে ।
এটি ইনষ্টল করার পর ওপেন করু ন এর সাইড মেনু থেকে রেডিও বা টিভি সিলেক্ট করেইচ্ছেমত দেশের টিভি দেখুন বা শুনুন রেডিও।

আর বাংলা রেডিও গুলো অনলাইনে শুনতে হলে ভিজিট করুন
http://www.eradiobd.blogspot.com

ইয়াহু লগ ইন (মাল্টি ইউসার)

Multiple login in Yahoo!
You can login with multiple id's on the same Yahoo! messenger without any download or patch .
Follow these steps
1. Go to Start ---- Run . Type regedit, then enter .

2.Navigate to HKEY_CURRENT_USER -------- Software --- Yahoo! -----pager----Test

3.On the right pane , right-click and choose new Dword value .

4.Rename it as Plural.

5.Double click and assign a decimal value of 1.


That's it done!!

Now close registry and restart Yahoo! messenger .

For signing in with new id open another messenger open as many messengers u need.

সেক্স ট্রিভিয়াঃ শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যে , ছোটদের জন্যে এক্কেবারে নিষিদ্ধ

খুঁজতে খুঁজতে অনেক কিছুই পাওয়া যায় ।
তবে এবারের বিষয়টা একটু অন্যরকম এবং সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ইহা শুধুমাত্র বড়দের জন্যে লেখা ।
.......................................................................................



১। পৃথিবীতে প্রতিদিন ১০০মিলিয়ন দৈহিক মিলনের ঘটনা ঘটে ।
২। কনডম প্রথম তৈরী হয় ১৫০০ শতাব্দীতে ।
৩। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কনডম ব্যাবহৃত হত রাইফেলের ব্যারেল এর সুরক্ষার জন্যে সমুদ্রতীরে সাঁতারের সময় যাতে লোনা পানিতে কোন ক্ষতি না হয়।
৪। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত আমেরিকায় মানসিক চিকিৎসকদের কাছে সমলৈঙ্গিক মিলন মানসিক অসুস্থতা হিসেবে ধরা হত ।
৫। Burlesque costumes বর্তমানে সেক্সসিম্বল কিছু হলেও ১৫০০ শতাব্দীতে সেগুলো একটু ভিন্নভাবে ব্যাবহৃত হত । পিউবিক হেয়ার এর উইগ হিসেবে আর পিউবিক উকুন এবং সিফিলিস এর সংক্রমন ঢাকতে তা সে আমলের পতিতারা ব্যাবহার করত ।
৬। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের ফ্যান্টাসী হয় ওরাল সেক্স নিয়ে এবং সেখানে ৮ শতাংশ মানুষ এ্যানাল ফ্যান্টাসী করেন ।
৭। বিক্রিত প্রতি ১০ টি কনডমের মধ্যে ৪ টির ক্রেতাই নারী ।
৮। ৫৬ শতাংশ পুরুষ কর্মক্ষেত্রেই মিলনে আগ্রহী এবং তা করেও থাকেন ।
৯। প্রতি ৩ জনের ১ জনেরই আফ্যেয়ার আছে এবং ৬২ শতাংশ মনে করেন এতে কোন দোষ নেই ।
১০। কামনার অনুভূতি এর সর্বোচ্চ গতি থাকে চামড়া থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত যেতে ১৫৬ মাইল/ ঘন্টা ।
১১। বিবাহের সময় মাত্র ২৯% তথাকথিত কৌমার্য বজায় রাখেন ।
১২। গড়পড়তা সঙ্গম স্থায়ীত্বকাল থাকে ৩৯ মিনিট ।
১৩। ৫৮% মানুষ মিলনকালীন সময়ে Dirty talk পছন্দ করেন ।
১৪। ২২% মানুষ অন্তত একবার পর্ণোমুভি রেন্ট করেন ।
১৫। ব্রিটিশ রাজা এ্যাডওয়ার্ডের ( VII ) একটি বিশেষ টেবিল ছিল মিলনকার্য্যের সুবিধার্থে ।
১৬। প্রতি সাধারন ওয়েবসাইটের বিপরীতে ৫ টি করে এ্যাডাল্ট ওয়েবসাইট আছে ।
১৭। দিনের বেলায় গড়ে পুরুষদের ইরেকশন হয় ১১ বার যেখানে রাত্রে হয় ৯ বার করে ।
১৮। "gymnasium" শব্দটি Greek word "gymnazein" থেকে এসেছে যার মানে "to exercise naked."
১৯। পুরুষ এবং মহিলা ইঁদুর প্রতিদিন গড়ে ২০ বার মিলিত হয়
২০। প্রতি ঘন্টায় 70-120 calories খরচ হয় 130 pound মহিলাদের জন্যে , যেখানে 77-155 calories ব্যাবহৃত হয় 170 pound এর পুরুষদের ক্ষেত্রে ।
২১। ১৯শ শতাব্দীর সময়ে ভাইব্রেটর তৈরী হয় হিস্টিরিয়া আক্রান্ত মহিলাদের জন্যে যা তাদের অর্গাজমের জন্যে ব্যাবহৃত হত এবং চিকিৎসকরা এজন্যে তা ব্যাবহার করতে বলতেন ।
২২। ভ্যালিয়ামের চেয়ে ১০ গুন বেশি শক্তিশালী ট্রাংক্যুইলাইজার এই যৌনমিলন ।
২৩। বীর্য্যের মাঝে প্রায় ৩০টি উপাদান রয়েছে , তার কিছু নিম্নরূপ fructose, ascorbic acid, cholesterol, creatine, citric acid, lactic acid, nitrogen, vitamin B12, and various salts and enzymes ।
২৪। মিলনের সময় মেয়েদের বিপুল পরিমানে এন্ড্রোফিন উৎপন্ন হয় যা মাথাব্যাথার জন্যে অত্যন্ত কার্যকরী ঔষধ , তাই মাথাব্যাথা একটি ভুল অজুহাত মাত্র মিলনের ক্ষেত্রে ।
২৫। মেয়েরা মিলনকালীন সময়ে estrogen নির্গমন করে যা তাদের চামড়া এবং চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে দেয় ।
২৬। মাইল্ড ডিপ্রেসনের রোগীদের জন্যে মুহূর্তকালীন নিরাময় এই দৈহিক মিলন যা এন্ড্রোফিন নির্গমন করে এবং রক্তের বেগ বৃদ্ধি করে থাকে অনেক । সাময়িকভাবে তা ভাল হবার আবেশ এনে দেয় ।
২৭। প্লেবয় ম্যাগাজিনের মতে আমেরিকান রা জুন মাসে কৌমার্য বিসর্জন দেয় অন্যান্য মাসের তুলনায় ।
২৮। মশার মিলনের স্থায়ীত্বকাল মাত্র ২ সেকেন্ড ।
২৯। শুকরের মিলনের স্থায়ীত্বকাল ৩০ মিনিট গড়ে ।
৩০। রোমান রাজ্যের রাজা নিরো বালকদের কে মৃতা স্ত্রী এর পোষাক পড়িয়ে মিলনকার্যে ব্যাবহার করতেন ।

Saturday, April 25, 2009

ইন্টারনেট ছাড়াই জিমেইল ব্যবহার

ইমেইল ক্লাইন্টের নাম আমরা সবাই শুনেছি অনেকেই আউটলুক, ইউডোরা, থান্ডারবার্ডের মত ইমেইল ক্লাইন্ট ব্যবহার করে থাকেন। মেইল ক্লাইন্টের মাধ্যমে পপ সুবিধা থাকা মেইলগুলো ওয়েব মেইল থেকে ডাউনলোড হয়ে মেইল ক্লাইন্টে চলে আসে ফলে ইন্টারনেট ছাড়াই ইমেইল পড়া এবং লিখে সেভ করে রাখা যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মেইল ক্লাইন্টে ওয়েবমেইলগুলো ডাউনলোড হয় ফলে ওয়েবমেইলে তা আর থাকে না, অন্য কোথাও থেকে আর পড়াও যায় না। যদিও জিমেইল পপ সুবিধা সাথে অনলাইনে মেইলের কপি রাখার ব্যবস্থা আছে। ফলে জিমেইল ব্যবহাকারীরা পপ সক্রিয় করে অন্য মেইল ক্লাইন্ট ব্যবহার করলে যে সুবিধা পেয়ে থাকে তাই পাওয়া যাবে জিমেইল অফলাইন দ্বারা। মূলত এটা জিমেইলকে অনলাইনের সাথে অফলাইনের যোগসূত্র তৈরী করে দিয়েছে। অফলাইনে জিমেইল ব্যবহার করতে হলে গুগল গিয়ার ইনস্টল করতে হবে। এজন্য http://gears.google.com থেকে গুগল গিয়ার ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। এবার জিমেইল খুলে সেটিংস থেকে Labs ট্যাবে যান এবং Offline এর Enable অপশন বাটন নির্বাচন করে Save Changes বাটনে ক্লিক করে সেভ করুন। সেভ হবার পরে জিমেইল পুনরাই সক্রিয়ভাবে লোড হবার পরে উপরের ডানে Offline0.2 এ ক্লিক করুন তাহলে Install offline access for Gmail ডায়ালগ বক্স আসবে এখানে Next করুন (যদি Gears Security Warning ডায়ালগ বক্স আসে তাহলে I trust this site চেক করে Allow বাটনে ক্লিক করুন।) এবং কোথায় কোথায় শটকাট নিবেন তা নির্বাচন করে Ok করুন, তাহলে ডাউনলোড (Finishing offline installation এবং পরে Synchronizing…) শুরু হবে। এটি মূলত ইউজারের Local Settings\Application Data এর মধ্যে সেভ হয়। সবশেষে Go into Flaky Connection Mode এ ক্লিক করুন। এরপরে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও তৈরী হওয়া শটকাটে ক্লিক করে অথবা https://mail.google.com/mail সাইটে গিয়ে মেইল পড়তে, লিখে সেভ করতে পারবেন। একই কম্পিউটারে, একই ব্রাউজারে, এভাবে একাধিক ইউজারের তথ্যও অফলাইন করে রাখা যাবে। এমনকি একই একাউন্ট একাধিক কম্পিউটারে অফলাইন করে রাখা যাবে। আর পোর্টেবল ফায়ারফক্সে ব্যবহার করলেতো কথাই নেই, ইচ্ছেমত বহন করা যাবে (সিডিতে রাইট করেও রাখা যাবে) আর অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তন বা নতুন করে ইনস্টল করলেও সমস্যা নেই। জিমইেল অফলাইন আপতত উইন্ডোজ (এক্সপি+), ম্যাক এবং লিনাক্সে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার৬+, ফায়ারফক্স ১.৫+, সাফারিতে সর্মথন করবে। এছাড়াও সকল ধরনের তথ্যই জিমেইলের অফিসিয়াল ব্লগ http://gmailblog.blogspot.com থেকে পাওয়া যাবে।

‘এ জগতে হায় সেই বেশি চায়…’

এটা রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘দুই বিঘা জমি’ নামের একটি কবিতার বাক্যের অংশ। পুরো বাক্যটি হচ্ছে: ‘এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি,/রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।’ কবিতাটি লেখার পেছনে একটি ঘটনা আছে। রবীন্দ্রনাথ তখন শিলাইদহে তার পৈতৃক কুঠিবাড়িতে আশপাশের জমিদারির দেখাশোনা করছেন। খবর পেলেন তার এক নায়েব একজন গরিব প্রজার জমি জোরদখল করেছে। মানবতাবাদী রবীন্দ্রনাথ জমিদার রবীন্দ্রনাথের ঊর্ধ্বে উঠে ওই প্রতিবাদ-কবিতা তাৎক্ষণিক রচনা করলেন। তবে আমরা কেন মধ্যবিত্ত মানসিকতার ঊর্ধ্বে উঠে অতিরিক্ত সম্পত্তি ভোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে পারবো না? বাংলাদেশের সংবিধানে তো এটা স্পষ্ট করাই আছে ২০(২) অনুচ্ছেদেÑ ‘রাষ্ট্র এমন অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করিবেন, যেখানে সাধারণ নীতি হিসেবে কোন ব্যক্তি অনুর্পাজিত আয় ভোগ করিতে সমর্থ হইবেন না…।’

হ্যাঁ, আপনার অনুমান সঠিক প্রিয় পাঠক, সেনানিবাসে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসার লিজ বাতিলের ঘটনাটি হচ্ছে আমার আজকের লেখার বিষয়। এ ঘটনাটি কখনো আমার লেখার বিষয় হতো না যদি গত ৯ এপ্রিলের দৈনিক ডেসটিনি সংবাদপত্রে নাগরিক সমাজের দু’জন সম্মানীয় ও পরিচিত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি যারা কলাম লেখকও বটে, তাদের ছবিসহ মন্তব্য প্রতিবেদন প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা না হতো। শুধু এটাই নয়, বক্সের মধ্যে সেটা যেখানে ছাপা হয়েছে তারই বামপাশে ‘ডেসটিনি রিপোর্ট’ উল্লেখে সেটার লাল কালিতে মোটা মাপের শিরোনাম দেয়া ছিল। ওই সিদ্ধান্তটি আইনসিদ্ধ হয়েছে কি না সে বিষয়ে চটজলদি মন্তব্য করা উচিত হবে না। কারণ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়ার সুযোগ আছে এবং সে ক্ষেত্রে আদালতের রায়ই চূড়ান্ত হবে। সরকার কিংবা যে কোনো ব্যক্তি আইনি-বেআইনি কাজ জেনে বা না জেনে করতেই পারেনÑ সেটা নিষ্পত্তির জন্য আদালতই একমাত্র উপযুক্ত জায়গা এবং আইনের আশ্রয় নেয়া একমাত্র উপযুক্ত উপায়। আমি অবাক হয়েছি এই কারণে যে, তারা কেউই ওই কথাগুলো বলেননি। অথচ আইনের শাসনের অর্থই হচ্ছে সব বিরোধের নিষ্পত্তি হবে আইনের অনুসরণে এবং কখনো বলপ্রয়োগে নয়, যেটা হচ্ছে জঙ্গলের শাসন; যার রাশভারি নামটি হচ্ছে ফ্যাসিবাদ।
ঘটনাটি শুধু দৈনিক ডেসটিনি সংবাদপত্রেরই লিড নিউজ বা মুখ্য খবর ছিল না। দেশের সব ক’টি সংবাদপত্রেরই মুখ্য খবর ছিল, যাদের শিরোনাম ছিল মোটা মাপের লাল কালিতে ছাপা। প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন দুঃখ করে লিখেছিলেনÑ ‘কিন্তু ভারতবর্ষের যে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ রোজ রাতে ক্ষুধার জ্বালা নিয়ে ঘুমোতে যায়, যাদের গোটা জীবনটাই কাটে নিরবচ্ছিন্ন অনটনের মধ্যে আধপেটা খেয়ে, তাদের জন্য ত্রাণের কোনো ব্যবস্থা নেই। যে ক্ষুধা হঠাৎ বা চরম নয় কিন্তু সমাজ ব্যবস্থার মজ্জাগত, তার নীরব উপস্থিতি সংবাদপত্রে আলোড়ন তোলে না। তা নিয়ে রাজনৈতিক বিক্ষোভ হয় না, ভারতীয় সংসদ তার সম্পর্কে উত্তাল হয়ে ওঠে না। সমাজ ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবেই তা চলতে থাকে।’ প্রিয় পাঠক, উদ্ধৃতিতে যে দু’জায়গায় ‘ভারত’ উল্লেখ করা আছে, সে স্থলে ‘বাংলাদেশ’ যদি উল্লেখ করা যায়, তাহলে কিছুই হেরফের হবে না। অথচ নেতৃস্থানীয় সম্মানীয় দু’জন আলোচ্য ঘটনাটির কারণ হিসেবে প্রতিহিংসা উল্লেখ করলেন। একজন যখন তার কোনো স্বজনের হত্যাকারীর মৃত্যুদ- চান কিংবা তার সম্পত্তি থেকে জবরদখলকারীর উচ্ছেদ চান, তখন তার দাবিকে প্রতিহিংসা বলা হয় না। কারণ দাবিটি আইনের শাসন দ্বারা সমর্থিত। আবার অভিযুক্ত ব্যক্তি নিশ্চিত থাকেন এই কারণে যে, তিনি অভিযুক্তকারীর সমতুল্য আইনের আশ্রয় পাবেন। সুতরাং সরকারের উপরোক্ত সিদ্ধান্তটি কী কারণে আইনসিদ্ধ নয়, যদি তাদের ধারণায় থাকে সেটা কিংবা সেগুলো উল্লেখ না করে তাকে প্রতিহিংসাপরায়ণ কেন বলা হলো আমার বোধগম্য হয়নি। কোনো কাজকে প্রতিহিংসার ধুয়া তুলে বেআইনি বলা যায় না যতোক্ষণ না সে কাজটি আইনের নিক্তিতে ওজন করা হয়।
ইতিমধ্যে ফ্যাসিবাদের একটি সহজ সংজ্ঞা বলেছি। দার্শনিক বারট্রান্ড রাসেল তার লেখা একটি পুস্তকে, যার শিরোনামের বঙ্গানুবাদ ‘স্মৃতির পট’ করা যায়, লিখেছেনÑ ‘সবমিলিয়ে একশ বছর আগের তুলনায় পৃথিবীতে এখন অল্পই স্বাধীনতা আছে।’ কেন? এ প্রশ্নটির উত্তর দিয়েছেন এমএন রায়Ñ ‘পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা ব্যক্তি মানুষকে একাকিত্বের পথে নিয়ে যায় এবং তার ফলে ব্যক্তি মানুষ সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে। এই মারাত্মক নিঃসঙ্গতা থেকে ব্যক্তি মানুষকে উদ্ধার করতে গিয়ে ফ্যাসিবাদীরা রাষ্ট্রীয় একনায়কত্বের গুণগান করে এই উদ্দেশ্যে যাতে ব্যক্তি মানুষ আঁকড়ে ধরার জন্য একটা কিছু পায়। পুঁজিবাদী সমাজের এই নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্যক্তি মানুষ নিজের থেকেও বড় কিছুর ওপর নির্ভর করতে চায়। এই নির্ভরতার অšে¦ষণে ব্যক্তি মানুষ স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আশ্রয় খোঁজে। কিন্তু এই স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা শেষ পর্যন্ত ব্যক্তি মানুষকেই গ্রাস করে ফেলে।’ (দ্য প্রবলেম অফ ফ্রিডম বা স্বাধীনতার সমস্যা। অনুবাদ, শঙ্কর ঘোষ)।
প্রিয় পাঠক, বোধকরি আপনার কাছে এখন স্পষ্ট হয়েছে কেন আমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হইচই, সমাবেশ ও মিছিল দেখছি। ব্যক্তি মানুষকে নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্তি দেয়ার উপায় বাংলাদেশের সংবিধানের স্থানীয় শাসনের রূপরেখায় দেয়া আছে। কিন্তু দুঃখের কথা, সেটা জনগণের ভাগ্যে আজতক জোটেনি। এ বিষয়ে অন্য সময় বলা হবে।
একটি ঐতিহাসিক ঘটনার কথা উল্লেখ করা যাক। তখন হযরত উসমানের খেলাফতের সময়। সিরিয়া প্রদেশটির গভর্নর ছিলেন মুয়াবিয়া। তিনি প্রদেশটির রাজধানী দামেস্ক শহরে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে একটা বিশাল প্রাসাদ নির্মাণ করছিলেন। হযরত আবুজর গিফারি ছিলেন একজন সাহাবি। সাহাবি একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ করা হয় যারা ইসলামের নবীর সাহচর্য পেয়েছিলেন। আবুজর প্রাসাদ নির্মাণস্থলে উপস্থিত হয়ে মুয়াবিয়াকে বললেন, ‘যদি তুমি রাষ্ট্রের অর্থে প্রাসাদ নির্মাণ কর, তবে তুমি একজন আত্মসাৎকারী। আর যদি তুমি নিজস্ব অর্থ দিয়ে নির্মাণ কর, তবে তুমি অপচয়কারী।’ অতঃপর আবুজর কোরআন থেকে আবৃত্তি করলেনÑ ‘যে অর্থ জমায় ও উহা বারবার গণনা করে; সে ধারণা করে যে, তাহার অর্থ তাহাকে অমর করিয়া রাখিবে, কখনো না, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হইবে। হুতামায়; হুতামা কী, তাহা তুমি কি জান? ইহা আল্লাহর প্রজ্বলিত হুতাশন, যাহা হৃদয়কে গ্রাস করিবে।’ (সুরা হুমাযা)। অতঃপর আবুজর সমবেত জনগণের উদ্দেশে কোরআন থেকে আবৃত্তি করলেন, ‘আর যাহারা স্বর্ণ ও রৌপ্য পুঞ্জীভূত করে এবং আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, উহাদিগকে মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দাও। যেদিন জাহান্নামের অগ্নিতে উহা উত্তপ্ত করা হইবে এবং উহা দ্বারা তাহাদিগের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশে দাগ দেয়া হইবে। সেদিন বলা হইবে, উহাই যাহা তোমরা নিজদিগের জন্য পুঞ্জীভূত করিতে।’ (সুরা তাওবা, আয়াত ৩৪-৩৫)। জনগণ আবুজরের কাছ থেকে এই শিক্ষা নিলেন যে, তৎকালে দামেস্ক শহরে পুঁজিবাদী বাসিন্দাদের দেখামাত্র জনগণ তাদের পিছু পিছু দৌড়াতে দৌড়াতে বলতে লাগলেনÑ ‘দাগি! দাগি!’ সঞ্চয় বিষয়ে কোরআনের অনুশাসন এইÑ “লোকে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, কী তাহারা ব্যয় করিবে? বলো, ‘যাহা উদ্বৃত্ত।’ এইভাবে আল্লাহ তাঁহার বিধান তোমাদের জন্য সুস্পষ্টরূপে ব্যক্ত করেন, যাহাতে তোমরা চিন্তা করো।” (সুরা বাকারা, আয়াত ২১৯)। কী প্রয়োজনের অতিরিক্ত? এটা আপনার মনের ওপর নির্ভর করে। আপনি যতোই উন্নত মনের অধিকারী হবেন, ততোই আপনি ব্যয়ে ও ভোগে মিতব্যয়ী হতে থাকবেন। ব্যক্তি মানুষের যুক্তিশীলতার পথে ক্রমাগত উত্তরণের এটি একটি প্রক্রিয়া। বাংলাদেশের জাতীয় কবি অনেক আগেই যেটা লিখেছেনÑ ‘ওগো সঞ্চয়ী, উদ্বৃত্ত যা করিবে দান/ক্ষুধার অন্ন হোক তোমার।’
জোহান হারডার একজন জার্মান লেখক। ‘চিরন্তন বোঝা’ শিরোনামে তার লেখা একটি গল্পের সংক্ষেপিত অনুবাদ এই। একদা খলিফা হাক্কাম তার রাজপ্রাসাদের বাগান আরো বাড়ানোর জন্য আশপাশের জমি কিনতে লাগলেন। পাশে একজন গরিব লোকের বসতবাটি ছিল। সে কিছুতেই সেটা বেচবে না। হাক্কাম জমিটা জবরদখল করলেন। লোকটি জেলা বিচারকের কাছে নালিশ করলো। এ ক্ষেত্রে একজন খাঁটি বিচারক কী করবেন? তিনি একটি খচ্চরের পিঠে জিন লাগালেন, খচ্চরের গলায় মস্ত একটা থলে ঝুলিয়ে দিলেন এবং তারপর রাজবাগানের দিকে চললেন। ঘটনাচক্রে গরিব লোকটির জমিতে যেখানে সুন্দর গাছপালা লাগানো হয়েছে, খলিফা হাক্কাম সেখানে। তিনি বিচারককে ওভাবে আসতে দেখে অবাক হলেন। আরো অবাক হলেন যখন তাকে বিচারক বললেন, হুজুর, এই জমি থেকে মাটি নিয়ে ওই থলি ভরতে অনুমতি দিন। হাক্কাম অনুমতি দিলেন। থলি ভর্তি হলে হাক্কামকে বিচারক অনুরোধ করলেন, খচ্চরের পিঠে সেটা তুলে দেয়ার জন্য তাকে সাহায্য করতে। কিন্তু থলিটা তোলা গেল না। হাক্কাম বললেন, এটা খুব ভারি। তোলা কষ্ট। মৃদুস্বরে বিচারক বললেন, এটা খুব ভারি মনে হচ্ছে আপনার। কিন্তু গরিব লোকটির যে জমি আপনি বেআইনি ভোগ করছেন, থলিতে আছে তার মাত্র একটি সামান্য অংশ। তাহলে পুরো জমিটার ভার আপনি সইবেন কী করে, যখন শেষ বিচারের দিনে সবটা জমি আপনার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হবে।
প্রিয় পাঠক, এখন আজকের লেখাটির শিরোনামের কথা বলি। এটা রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘দুই বিঘা জমি’ নামের একটি কবিতার বাক্যের অংশ। পুরো বাক্যটি হচ্ছে:
‘এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি,/রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।’ কবিতাটি লেখার পেছনে একটি ঘটনা আছে। রবীন্দ্রনাথ তখন শিলাইদহে তার পৈতৃক কুঠিবাড়িতে আশপাশের জমিদারির দেখাশোনা করছেন। খবর পেলেন তার এক নায়েব একজন গরিব প্রজার জমি জোরদখল করেছে। মানবতাবাদী রবীন্দ্রনাথ জমিদার রবীন্দ্রনাথের ঊর্ধ্বে উঠে ওই প্রতিবাদ-কবিতা তাৎক্ষণিক রচনা করলেন। তবে আমরা কেন মধ্যবিত্ত মানসিকতার ঊর্ধ্বে উঠে অতিরিক্ত সম্পত্তি ভোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে পারবো না? বাংলাদেশের সংবিধানে তো এটা স্পষ্ট করাই আছে ২০(২) অনুচ্ছেদেÑ ‘রাষ্ট্র এমন অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করিবেন, যেখানে সাধারণ নীতি হিসেবে কোন ব্যক্তি অনুর্পাজিত আয় ভোগ করিতে সমর্থ হইবেন না…।’

পুরুষের পছন্দের নারীদেহ কেমন?

নারীদেহ এক বড় রহস্য। আর এই রহস্যই যেন আচ্ছন্ন করে রাখে প্রতিটি সম পুরুষকে। সব পুরুষের মনেই একটা ধারণা থাকে তার পছন্দের নারীদেহ সম্পর্কে। এেেত্র ভিন্নতা থাকাটাই স্বাভাবিক। কেননা একেকজন একেক ধরনের রুচিবোধের অধিকারী। তবে অধিকাংশ পুরুষ কেমন নারীদেহ পছন্দ করে তা নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণালব্ধ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা নারীর মাঝে পুরুষ কী পেতে চায় এ সম্পর্কিত শতাধিক তত্ত্ব নিয়ে বিস্তর আলোচনা পর্যালোচনা করেছেন। তাতে দেখা গেছে, অধিকাংশ পুরুষ উন্নত ব ও স্বর্ণালী চুলের অধিকারী নারীকে বেশি পছন্দ করে থাকে। এ বিচার বিবেচনায় ব্রিটিশ সুপার মডেল কেট মস এ ধরনের নারীর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র্রের বিজ্ঞান বিষয়ক সাংবাদিক জেনা পিসকট তার ‘ডু জেন্টলম্যান রিয়্যালি প্রেফার ব ন্ডজ?’ শীর্ষক বইয়ে যে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছেন তা বেশ জটিল। তার মতে, পুরুষকে আকর্ষণ করার েেত্র একজন নারীর কোমর থেকে উচ্চতা পর্যন্ত অনেক বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। জেনা বলেন, নারীর স্তনযুগল তার বয়স, স্বাস্থ্য ও ভালো বংশের স্বারক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞ মতামত হলো, সরু কোমর ও বাঁকসম্পন্ন নিতম্বেরর অধিকারী নারী প্রথম দর্শনেই পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অবশ্য এর সঙ্গে থাকা চাই সামঞ্জস্যপূর্র্ণ মুখাবয়ব। আবার সব সৌন্দর্যময়ী মুখই যে সামঞ্জস্যপূর্ণ তা বলা যাবে না। যদিও মুখাবয়বের এ সামঞ্জস্যপূর্ণতা একজন নারীকে আকর্ষণীয় করে তুলতে ভূমিকা পালন করে। তবে এটা এক কথায় সবাই স্বীকার করেন, কোনো নারীর উন্নত ব ও স্বর্ণালী চুল একজন পুরুষের চোখকে আকৃষ্ট করে বেশি।

দুই বোনের এক জামাই

এক ফুল দো মালি?
না। দো ফুল এক মালি।
পাত্র-কৌশিক দত্ত।
পাত্রী-ঝুমা ও সোমা রায়চৌধুরী।
দুই বোন এখন থেকে দুই সতীন।
ছুটির দিনে উচ্চশিক্ষিত পরিবারের এক অভিনব বউভাত দেখল গড়িয়ার কালাচাঁদ পাড়া।
কৌশিক কলেজ স্ট্রিটের একটি নামজাদা প্রকাশনা সংস্থার মালিক। সেই মালিকানারই অংশীদার ঝুমা ও সোমা। কুড়িটি বসন্ত কেটেছে তিনজনের সম্পর্কের মোড়কে। এ বছরের শুরুতেই খানিকটা লুকিয়ে-চুরিয়ে ঐতিহাসিক কা-টি ঘটিয়ে ফেলেছেন এরা তিনজন। কৌশিক রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছেন দুজনকেই। আইনকে উড়িয়ে স্রেফ ইচ্ছাশক্তির বলে বিয়ের সামাজিক অনুষ্ঠাটিও এদিন সেরে ফেলেছেন তারা। বাবা-মা-বোনসহ যৌথ পরিবার কৌশিকের। একই পাড়ার বাসিন্দা ঝুমা ও সোমা। রীতিমতো উচ্চশিক্ষিত। ঝুমা ডক্টরেট। সোমা এমকম। মায়ের সঙ্গে থাকেন দুই বোন। ’৮৬ সাল থেকে দুই বোনের সঙ্গে কৌশিকের বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্বের জোরেই একসঙ্গে ব্যবসায় নামা। তিনজনের মালিকানায় একদিন তৈরি হল অঞ্জলী প্রকাশনী। দুই বোন হরিহর আত্মা। দুজনকেই ভাল লাগত কৌশিকের। ভাললাগা যখন ভালবাসা হল, তখনও সেই দুজন। বউভাতের আসর থেকে দূরে যখন এই বিয়ের অস্বাভাবিকতা নিয়ে চর্চা চলছে, তখনও সেদিকে হুঁশ নেই বাড়ির আত্মীয়স্বজনদের। সবাই অকপটে মেনে নিয়েছেন এই ব্যতিক্রমী বিয়েকে।
কৌশিক, সোমা ও ঝুমার সদিচ্ছা বাহবা পেলেও প্রশ্ন উঠেছে আইন নিয়ে। হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী এক ব্যক্তি দুটি বিবাহ করতে পারেন না। কিন্তু তিনজনের ভালবাসার কাছে তুচ্ছ হয়ে গিয়েছে আইন। সমাজের কাছে যা অস্বাভাবিক, তাদের কাছে তা একান্তই স্বাভাবিক।
প্রকাশনা সংস্থাতে তিনজন থাকার ফলে কারও ভালবাসায় দূরত্ব তৈরি হয়নি। আবেগের এই অদ্ভুত আবদারে ছত্রিশ বছরের কৌশিক একদিন এই অভিনব সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেললেন। তিন বছরের তফাতে দুই বোনকে ঘরনী করলেন। দুই বোনও সানন্দে একই পুরুষকে স্বামী হিসেবে মেনে নিলেন। অতিথি আপ্যায়ন করতে করতে ঝুমা বললেন, আপনাদের কাছে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে, আমাদের কাছে এটাই স্বাভাবিক। এই বক্তব্যেও ভিন্ন মত নেই সোমার।
বউভাত খেয়ে ঢেকুর তুলতে তুলতে রসিকজনেরা অবশ্য প্রশ্ন তুলতে ছাড়েননি বউভাত তো হল, এবার ফুলসজ্জার কী হবে। বউভাত খেতে এসে এক প্রতিবেশী তো বলেই ফেললেন এ তো, বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি!

বিশ্বকে ঠাণ্ডা করতে আসছে আইনস্টাইনের রেফ্রিজারেটর

আধুনিক রেফ্রিজারেটরকে হটিয়ে দিয়ে এগিয়ে এল ৩০ দশকের এক অন্যরকম রেফ্রিজারেটর। ১৯৩০ সালে আইনস্টাইনের নকশা দেখে এ রেফ্রিজারেটর তৈরির কাজে উঠেপড়ে লেগেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। যা চলবে বিদ্যুৎ ছাড়াই এবং আগাগোড়া পরিবেশবান্ধব।

আধুনিক রেফ্রিজারেটরে ব্যবহৃত হয় ফ্রেয়ন যা সিএফসি তৈরি করে বাড়িয়ে দিচ্ছে তাপ। তবে আইনস্টাইনের রেফ্রিজারেটরে ব্যবহৃত হবে অ্যামোনিয়া, বিউটেন ও পানি। কাজে লাগানো হবে কম তাপমাত্রায় ও চাপে বাষ্পীভবন পদ্ধতি। তাই আধুনিক রেফ্রিজারেটরের পরিবর্তে এটি ব্যবহৃত হলে গোবাল ওয়ার্মিংয়ের অন্যতম প্রভাবক সিএফসি’র উৎপাদন অনেকটাই কমে যাবে।

এ প্রক্রিয়ায় একটি ফ্লাক্সে হিমায়ক হিসেবে থাকবে বিউটেন। এরপর বাষ্পীভবন কুণ্ডলীতে ঢুকিয়ে দেয়া হবে অ্যামোনিয়া। এর মাধ্যমেই স্ফূটনাংক কমানো হবে বিউটেনের। ফলে বষ্পীভূত হয়ে বিউটেন ও অ্যামোনিয়ার মিশ্রণ ফ্লাক্সের তাপ শুষে পৌঁছে যাবে কনডেনসরে। এখানে বাষ্পমিশ্রণ থেকে পানিতে দ্রবীভূত হবে অ্যামোনিয়া এবং মুক্ত বিউটেন ভাসতে থাকবে। এসময় শোষণকৃত তাপ বিউটেন থেকে চলে যাবে অ্যামোনিয়ায় এবং তা থেকে পানিতে। তরল বিউটেন আবার বাষ্পীভবন কুণ্ডলীতে চলে যাবে এবং অ্যামোনিয়াকে একটি হিট এক্সচেঞ্জারের মাধ্যমে আবার তরল করে পাঠানো হবে বাষ্পীভবন কুণ্ডলীতে। এভাবেই চলতে থাকে পুরো শীতলীকরণ চক্র।

আধুনিক রেফ্রিজারেটরের চেয়ে আইনস্টাইনের রেফ্রিজারেটর তেমন কার্যকর না হওয়ায় পরবর্তীতে তা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন তড়িৎ প্রকৌশলী বলছেন একটু অন্যভাবে তৈরি করলে এবং অন্য কোনো গ্যাস ব্যবহার করলে হয়তো এর দক্ষতা আরো বাড়বে।

এতে শুধু পাম্পটিকে উত্তপ্ত করার জন্য সামান্য শক্তির প্রয়োজন। যা আসতে পারে সূর্য থেকেই। এক মাসের মধ্যেই শেষ হবে আইনস্টাইনের ফ্রিজের আধুনিক সংস্করণের কাজ।

পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে ‘কেমফ্রিজ’র গবেষকরা। সেখানে তারা ম্যাগনেটিক ফিল্ড বা চৌম্বক ক্ষেত্রকে কাজে লাগিয়ে অন্য আরেক ধরনের রেফ্রিজারেটর নিয়েও গবেষণা করছেন। গ্যাসের পরিবর্তে তাতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশেষ সংকর ধাতু এবং চৌম্বকক্ষেত্র। যখন সংকর ধাতুর পেছনে চৌম্বকক্ষেত্র রাখা হয় তখন এটি সাধারণ ফ্রিজের ‘গ্যাস সংকোচন (কমপ্রেসড গ্যাস)’-এর কাজ করে।

সবচে বেশি ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড ১২৩৪৫৬

বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড নিয়ে জরিপ করেছে হোয়াটস মাই পাস ডট কম। সবচে বেশি ব্যবহৃত পাসওয়ার্ডের এক নম্বরে আছে ‘১২৩৪৫৬’। খোদ ‘পাসওয়ার্ড’ শব্দটি পাসওয়ার্ডের তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছে। শীর্ষ ৫শ বহুল ব্যবহৃত পাসওয়ার্ডের তালিকায় ঘুরেফিরে পপ কালচার ও প্রথম গাড়ির নামগুলো ব্যবহারের হিড়িক দেখা গেছে।

এছাড়াও পাসওয়ার্ড হিসেবে আছে ব্যাটম্যান, এনসিসি ১৭০১, কোকাকোলা, বন্ড ০০৭। পাসওয়ার্ড দাতাদের অনেকে বেছে নেন নিজের নামটিও।

ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে ৯ জনের ১জন ব্যবহারকারী এ তালিকার একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। এছাড়া ৫০ জনের ১জন শীর্ষ ২০টি পাসওয়ার্ডের একটি ব্যবহার করেন। গবেষণায় আরও বলা হয়, একজন ব্যবহারকারী তার বিভিন্ন একাউন্টের জন্য গড়ে ১৫টি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে। ৬১ শতাংশই সব একাউন্টের জন্য একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে।

এক ক্লিকেই বন্ধুত্ব?

‘ওয়ান ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’। ক্লিক করলেন এড এস আ ফ্রেন্ড। এরপর? ছবিটা চেনা চেনা মনে হচ্ছে না? মনে সামান্য দ্বিধা? তŸু ‘এড’ বাটনটায় চাপ দিয়েই দিলেন? ব্যাস হয়ে গেল বন্ধু! পরিচয় জানা নেই? তাতে কি! লিস্টে যতদিন আছে, ততোদিন ‘ফ্রেন্ড’। তারপর শুরু হলো স্ট্যাটাসের ফুলঝুরি, বাহারি সব গ্র“পে জয়েন, কমেন্ট, কমেন্টের জবাবে ফের কমেন্ট। ছবি আপলোড করে তা আবার কাকে কাকে দেখাবেন, তাও ঠিক করে দেয়া যাচ্ছে (যাকে বলে ‘শেয়ারিং’)। এরপর আবার গণ্ডায় গণ্ডায় ভার্চুয়াল গিফট তো আছেই। এমনিতে হয়তো মাসে দুমাসে খবর নেয়া হয় না, কিন্তু মাউসের দুচারটে ক্লিক করে তার সঙ্গে অনায়াসে খাওয়া যাচ্ছে কফি (আসল নয়, ভার্চুয়াল)।

শুনতে বেশ জটিল মনে হলেও, এসবই এ যুগের ‘ফ্রেন্ডশিপ’। খোলাসা করতে গেলে, এটাই হচ্ছে এ কালের ‘সমাজ গড়ার নেটওয়ার্ক’। যেখানে বন্ধুত্ব শিখতে হলে আগে আপনাকে দক্ষ হতে হবে অনলাইনে। ফেসবুক একাউন্ট নেই! হায় হায়! জীবনের পনের আনাই মিছে! প্রযুক্তিতে আনাড়ি যারা, তারাও দেখা যায় কদিন পর একে ওকে বলে কয়ে একখানা একাউন্ট দাঁড় করিয়ে নিচ্ছে। এসব ছাড়া চলে নাকি!

কদিন পর অবশ্য সমস্যার বালাই নেই। ‘বন্ধু’রাই শিখিয়ে দেবে, কী করে অন্য বন্ধুদের তালিকায় যোগ করবেন। কী করে ‘ওয়াল’এ লিখে লিখে আড্ডা দেবেন, কী করে স্রেফ ক্লিক করে করে হরেক প্রতিবাদ, গ্র“প ও আন্দোলনে সামিল হবেন।

এসবের ফলে কী হবে? গুটিকয়েক বিশেষজ্ঞ অবশ্য কিছুদিন আগে বলেছিলেন, এসব ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক যতোবেশি দৃঢ় হবে, ততো একা হতে থাকবে ব্যক্তি। ততো বেশি একাকীত্ব ছেঁকে ধরবে, রক্তমাংসের মানুষটাকে।

আপাতদৃষ্টে এসব সামাজিক বন্ধন টাইপ প্রযুক্তি অনেকটা ফাঁদের মতো। অভ্যস্ত হয়ে গেলে এসব ছাড়া যেন চলবেই না। তদুপরি এসবের পক্ষে সাফাই গাওয়ার অস্ত্রেরও অভাব হয় না। পক্ষে দাবি একটাই, নিখরচায় যোগাযোগটা তো হচ্ছে! কিন্তু আসল বন্ধুত্বের নির্যাসটুকু কি ক্রমশ ম্রিয়মাণ হচ্ছে না? সমাজের দোহাই দিয়ে গুটিকয়েক ওয়েবসাইট আমাদের জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে নিচ্ছে না তো?

আমাদের এ উপমহাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো ভার্চুয়াল জগত সেভাবে উপনিবেশ না গড়লেও ইউরোপ-আমেরিকায় এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে কদাচিৎ ‘মিস’ করে। দরজায় নক করে সশরীরে হাজির হয়ে সারপ্রাইজ দেয়ার রীতিটা উঠেই গেছে বলা যায়।

নবীনরা তো নতুনকে সাগ্রহে নেবেই। তবে পুরনো প্রযুক্তিকে বাতিলের খাতায় ছুড়ে ফেলার আগেই যদি তারা ঐ অণুষঙ্গের প্রতি বিচিত্র এক মানসিক জালে আটকা পড়ে, তবে ওটাও নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল-ডালের মতো হয়ে পড়বে। তখন ওসব ভার্চুয়াল ব্যাপারগুলো ছাড়া তাদের একটি দিনও চলবে না!

গড়পড়তায় ফেসবুকের সব ‘ফেস’ কিন্তু চেনামুুখ নয়। কিন্তু সেই অচেনা মুখগুলোও কোনো এক রহস্যময় সম্পর্কের জালে আটকে দেয় নবীন ব্যবহারকারীদের। এসব চেহারা থেকে জš§ নেয় এক ধরনের ‘অপ্রয়োজনীয় নস্টালজিয়া’। তৈরি হয় প্রযুক্তির জোর করে চাপিয়ে দেয়া এক অদ্ভুত বন্ধুত্ব!

বিপরীতে, সিরিয়াস প্রযুক্তিপ্রেমীদের দাবি একটাই, কম্যুনিকেশনের জন্য এরচেয়ে ভাল কিছু হতেই পারে না। কিন্তু এই যোগাযোগে আদৌ কতোটুকু ‘যোগ’ হচ্ছে? কতোটুকু ‘যুক্ত’ হওয়া যাচ্ছে? কিছু কিছু সেবার খাতিরে এ প্রশ্নগুলোও নিছক অহেতুক হয়ে পড়ে।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখা, ‘মন খারাপ’। তা দেখে কি আর সেই বন্ধুর চেহারায় ফুটে ওঠা কষ্টের ছাপ কিংবা চোখের বিষণœতার ছোঁয়া সম্ভব? শব্দ বুনে বুনে তৈরি একটা যুৎসই কমেন্ট কি কারো মন ভাল করতে পারে? কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যা হচ্ছে, এতোদিনকার বন্ধুর মন খারাপের সংবাদ পেয়ে স্রেফ একটা কমেন্ট জুড়েই দায় সারছে অনেকে। আগের মতো আর কাঁধে হাত রাখার সময় নেই? কিংবা পাশে খানিকক্ষণ চুপচাপ বসে থাকার?

জীবনকে আরো ‘সহজ’ করতে গিয়ে এক জটিল গোলকধাঁধা তৈরি করছে না তো এসব স্যোসাল নেটওয়ার্কিং সাইট? বের হয়ে আসার সমাধান কিন্তু হাতের নাগালেই, একান্ত নিজের ভেতরকার অস্তিত্বটাকে ওয়েবসাইটের বাইরে এনে সবাইকে স্বকণ্ঠে জানিয়ে দিন আপনার ‘স্ট্যাটাস’। যারা মন দিয়ে শুনবে, আসল বন্ধু তারাই।

এটি হাইব্রিড আনারস নয়

এটি হাইব্রিড আনারস নয়। ফাইবারগ্লাস দিয়ে নির্মাণ করা ৫২ ফুট লম্বা এ আনারসটি ১৯৭১ সাল থেকে বাড়িয়ে চলেছে পর্যটনপ্রিয় অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের সানশাইন কোস্টের শোভা। হেরিটেজ সাইট হিসেবে কর্তৃপক্ষ এটিকে রাজ্যের সেরা ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক দৃশ্যের কাতারেই ফেলেছে

দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টিশক্তি দিতে আসছে বায়োনিক চোখ


কথায় আছে, চোখ থাকতে অন্ধ। কিন্তু যাদের সত্যি সত্যিই চোখ নেই, তাদের অন্ধ বলার দিন যেন ফুরিয়ে এসেছে। বায়োনিক আই বা বায়োনিক চোখের ব্যবহার চোখহীন মানুষকে দৃষ্টিশক্তি দিতে পারে।
অবিশ্বাস্য হলেও তথ্যটি সত্য। লন্ডনের মরফিন্ডস আই হসপিটালে প্রায় সাত মাস আগে রন নামে ৭৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তির ওপর পরীক্ষামূলকভাবে বায়োনিক চোখ স্থাপনের অস্ত্রোপচারটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। তিনি এখন আরগুস-টু (অৎমঁং ওও) নামের বায়োনিক চোখের সাহায্যে রাস্তার সাদা লাইনগুলোকে অনুসরণ করে নিরাপদে চলাচল করতে পারেন বলে জানিয়েছেন।
বায়োনিক চোখ বা আরগুস-টু নামের যন্ত্রটি একটি ক্যামেরা ও ভিডিও প্রসেসর ব্যবহার করে যা সানগ্লাসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ক্যামেরা এবং ভিডিও প্রসেসরের কাজ হচ্ছে সামনের ছবি তুলে বায়োনিক চোখের বাইরের দিকে থাকা ছোট একটি রিসিভারের কাছে ছবিটি ওয়্যারলেসলি পাঠিয়ে দেয়া। এরপর রিসিভারটি প্রাপ্ত ডাটা ক্ষুদ্র একটি তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎবহের একটি অ্যারেতে পাঠিয়ে দেয় যা রেটিনায় অবস্থান করে। রেটিনা হচ্ছে চোখের একটি বিশেষ কোষ যা চোখের ভেতরের অংশে অবস্থিত। যখন বিদ্যুৎবহের অ্যারেটি উদ্দীপিত হয় বা জেগে ওঠে, তখন তা ব্রেইনে অবস্থিত অপটিক নার্ভ বা দৃষ্টি-সম্পর্কীয় নার্ভে এক প্রকার মেসেজ প্রেরণ করতে থাকে। প্রেরিত মেসেজগুলো মনে মনে উপলব্ধি করা সম্ভব। এখন আশা করা হচ্ছে, রোগী (যার মধ্যে বায়োনিক চোখ স্থাপন করা হবে) ক্যামেরার মাধ্যমে প্রেরিত অর্থপূর্ণ ছবিগুলো বুঝতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী চলাচল করতে পারবেন।
বায়োনিক চোখ নির্মিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেকেন্ড সাইট’ (ঝবপড়হফ ঝরমযঃ) নামক একটি কোম্পানিতে। এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ১৮ জন দৃষ্টিহীনদের বায়োনিক চোখ সফলভাবে স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। মূলত এটি তৈরি করা হয়েছে রনের মতো দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তিদের জন্য যারা রেটিনিটিস পিগমেনটোসার দ্বারা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, শুধু ইউকেতেই এর দ্বারা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজারের মধ্যে।
বায়োনিক চোখের দ্বারা উপকৃত হওয়া ৭৩ বছর বয়সী রন তার পদবি বা আসল পরিচয় প্রকাশ করেননি। তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বিবিসিকে বলেন, ৩০ বছর ধরে আমি কিছুই দেখতে পাইনি। যেদিকে তাকিয়েছি শুধু অন্ধকার দেখেছি। কিন্তু এখন আলো আসছে। এতোদিন পর হঠাৎ করেই আলো দেখার সক্ষমতা ফিরে পাওয়াটা সত্যিই বিস্ময়কর ও অনেক আনন্দের।
তিনি আরো বলেন, বায়োনিক চোখ স্থাপনের পর আমি সঠিকভাবে সাদা, ছাই ও কালো রঙের মোজাগুলোকে চিনতে পারছি। অর্থাৎ কোনটার কোন রঙ তা সঠিকভাবে বলতে পারছি। তবে এ মুহূর্তে আমার সবচেয়ে তীব্র আকাক্সক্ষা হচ্ছে, সুন্দর কোনো বিকালে ঘুরতে গিয়ে সূর্যাস্ত দেখতে পারা এবং রাতের আকাশের চাঁদ দেখতে পারার সক্ষমতা অর্জন করা।
এদিকে রনের এ অবিশ্বাস্য উন্নতি দেখে আনন্দিত ও বিস্মিত তার স্ত্রী। তিনি বলেন, রন এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ করে ধোয়ামোছার কাজ এখন সে খুব ভালো করতে পারে কোনো সমস্যা ছাড়াই।
রনের চোখে অস্ত্রোপচারের কাজ করেন চিকিৎসক রেটিনাল সার্জন লিন্ডন ডা. ক্রুজ। তিনি বলেন, পরীক্ষামূলক এ সার্জারিতে রোগীদের উন্নতি দেখে আমরা অনেক উৎসাহিত হচ্ছি। পরীক্ষামূলক হলেও প্রতিটি অস্ত্রোপচারই কিছুই দেখতে পান না এমন রোগীদের কিছুটা হলেও বিকল্প দৃষ্টিশক্তি দিতে পারছে যা বায়োনিক আইয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেপ ফরওয়ার্ড। তবে পরীক্ষাটি আরো দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চালানো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নতুন এ প্রযুক্তির সাফল্য নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া বা পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
বায়োনিক চোখের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা কোসেনডাইয়ের মতে, শিগগিরই নতুন এ প্রযুক্তিটি ‘অমূল্য’ বলে প্রমাণিত হবে। তবে তিনি স্বীকার করেন এ আবিষ্কারকে সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে এখনো অনেক কাজ বাকি। তিনি বলেন, আমরা বোঝার চেষ্টা করছি বায়োনিক চোখের সাহায্যে কোন লেভেলের দৃষ্টিশক্তি আমরা দিতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, তত্ত্বমতে, দৃষ্টিহীনরা এর মাধ্যমে একটি ভালো ধরনের দৃষ্টিশক্তি অর্জন করতে পারবেন। তবে আমাদের প্রযুক্তি এখনো সে পর্যায়ে পৌঁছেনি। এখন আমরা নির্ণয় করার চেষ্টা করছি বায়োনিক চোখের ব্যবহারকারীরা এর মাধ্যমে কতোটা উপকৃত হতে পারেন এবং তাদের স্বাভাবিক জীবনে এটি কতোটা ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেন।

অনলাইনে ব্যাংক ডাকাতি

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে ব্যাংক ডাকাতির মতো ঘটনাও। আর ব্যাংকগুলোর মধ্যে অনলাইন সিস্টেম চালু হওয়ায় ঝুঁকিও বেড়েছে অনেক। অনলাইনে হ্যাকাররাই জব্দ করছে ব্যাংকের লাখ লাখ টাকা। সম্প্রতি ব্রিটেনে ধরা পড়ল অনলাইনে ব্যাংক ডাকাতির জন্য খ্যাত হাগ রবলি। বহুদিন ধরে তিনি তার সাথীদের নিয়ে এ ধরনের কাজ করছেন। ব্রিটেনের সুমিতমো মিটসুই ব্যাংকিং করপোরেশন থেকে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ল হাগ ও তার দুই সহযোগী জানভান ও গিললেস। তারা প্রথমে এই ব্যাংকে নিজের একাউন্ট খোলে এবং টাকা দিয়ে ব্যাংক সিকিউরিটি সুপারভাইজার থেকে বেশকিছু কোড নিয়ে নেয়। এগুলো নিয়ে গবেষণা করে ব্যাংক থেকে তারা ২২৯ মিলিয়ন ডলার তাদের নিজস্ব একাউন্টে ট্রান্সফার করার চেষ্টা করে। কিন্তু কোন কারণে ব্যালেন্স ট্রান্সফার না হওয়ায় ব্যাংকের কর্মচারীরা বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করে। আর ঠিক এ সময়ই ধরা পড়ে যে ট্রান্সফারটির কোন ডকুমেন্ট নেই। আর সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় ন্যাশনাল হাইটেক ক্রাইম ইউনিট। ধরা পড়ে অনলাইট ব্যাংক ডাকাতির এই দলটি।

খুন থামাতে ব্রিটিশ পুলিশের অভিনব কৌশল

কলিন এবং অ্যামোস ছিল ব্রিটেনের দুই দুর্ধর্ষ খুনি। এত তাচ্ছিল্যভরে তারা মানুষ খুন করতো যেন এই গ্রহের সবচে কম মূল্যবান হচ্ছে মানুষের জীবন! তারা একাধিকবার ধরাও পড়েছে। তবে তারা জামিনে মুক্ত থাকা অবস্থাতেই সবচে আলোচিত খুনগুলো করেছে। ভাড়াটে খুনি হিসাবে কাজ করে এবং মাদক চোরাচালানের মাধ্যমে তারা এত অর্থের মালিক বনে গিয়েছিল যে, তাদের বিলাসী জীবনকে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের অনেকে ঈর্ষার চোখে দেখতে শুরু করে দিয়েছিল। অনেক উঠতি বয়সের তরুণও এই দুই দুর্ধর্ষ খুনির গল্প শুনে অপরাধী জীবনে উৎসাহী হয়ে ওঠে।

কিন্তু সেসব ঘটনা এখন অতীত। ২০০৬ সালে আবার গ্রেফতার হয় এই দুইজন এবং তাদের সঙ্গীরা। এবার আর জামিন পায় না তারা। ২০০৮ সালে আদালত তাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে। উভয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। তবে কলিনকে কমপক্ষে ৩৯ বছর এবং অ্যামোসকে কমপক্ষে ৩৫ বছর জেলের ভাত খেতে হবে। কমপক্ষে ৩০ বছর সাজা খাটার পর তাদের প্যারোলে মুক্তি দেয়া হতে পারে। তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের সব মিলিয়ে ২২০ বছর জেল হয়। এই বিচারকার্যে সরকারের খরচ হয় ৫০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড। দেশটির পুলিশ ভবিষ্যৎ খুনিদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে দুর্বল করে দিতে এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে। কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে কলিন ও অ্যামোসের ভবিষ্যৎ চেহারা তৈরি করা হয়েছে। ৩০ বছর পর অর্থাৎ ২০৪৮ সালে যখন তারা প্যারোলে জেলের বাইরে আসবে তখন যৌবন গত হয়ে বুড়ো চেহারায় কেমন দেখাবে। শুধু ছবি তৈরি করে ক্ষান্ত দেয়নি পুলিশ ও গোয়েন্দারা। গোটা ম্যানচেস্টার এলাকায় বিশাল বিশাল বিলবোর্ডে তাদের বর্তমান ও ‘২০৪৮ সালের বুড়ো চেহারার’ ছবি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। খুনিরা এই এলাকারই ত্রাস ছিল এক সময়। খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারে সহায়তা করায় বিলবোর্ডে জনগণকে ধন্যবাদ দেয়া হয়েছে। দেশটির জনপ্রিয় ডেইলি মেইল পত্রিকায় এই ছবি এবং খবর প্রকাশ করা হয়েছে।

পুুলিশের এই কৌশলে দারুণ কাজ দিচ্ছে। জীবন শুরু না করতেই জেলে ঢুকে যদি এইরকম বুড়ো হয়ে বের হতে হয় তবে সবকিছু অর্থহীন হয়ে যাবে এই ধারণা থেকে তরুণ যুবকদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা অনেক কমে গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, কলিন ও অ্যামোসের এই দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত ম্যানচেস্টারে একটা খুনের ঘটনাও ঘটেনি। ভবিষ্যতে কোমলমতি কিশোর তরুণরা যাতে একেবারেই এ ধরনের অপরাধে জড়ানোর চিন্তা না করে সে লক্ষ্যে বিশাল বিশাল বিলবোর্ডে এই ‘শয়তানদের’ বুড়ো বয়সের ছবি সেঁটে দেয়া হয়েছে। মনস্তত্ত্ববিদরা বিশ্বাস করেন, এগুলো দেখতে দেখতে শিশু-কিশোরদের মনে অপরাধ জগতের প্রতি ঘৃণা জন্মাবে। জীবন শুরু না করতেই কারাগারে গিয়ে বুড়ো চেহারা নিয়ে বের হয়ে আসতে তারা নিশ্চই চাইবে না।

খুনের শিকার হওয়া পরিবারের সদস্যরা এর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমাদের আপনজনদের এই অপরাধীরা নৃশংসভাবে খুন করেছে। তাদের আর ফিরে পাব না। কিন্তু এই বিলবোর্ডগুলো দেখে শান্তি পাচ্ছি এই ভেবে যে, যদি তারা আদৌ কোনদিন জেল থেকে জীবন নিয়ে বের হয় তবে কেমন করুণ ও ভগ্ন চেহারা নিয়ে বের হবে। তখন তাদের জীবন বলে কিছু থাকবে না। তাদের দেখে ব্রিটেনের শিশু-কিশোররা খুন, খুনি এবং অস্ত্রকে ঘৃণা করবে। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য বড় সান্ত¡না। ’

দ্য ফেইসবুক

গল্পটা অনেক প্রাচীন। স্ত্রী আর দুই ছেলেকে নিয়ে সুখী পরিবার বাবার। সামান্য মাইনের চাকরি করেন তিনি, তবে চরিত্রের প্রয়োজনে খুব সৎ। কাজেই সংসারে অভাব-অনটনও নিত্যসঙ্গী। তাঁর দুই ছেলে গান গেয়ে গেয়ে স্কুলে যায় আর আসে। একদিন বড়লোক চৌধুরীর (যার একটি ফুটফুটে কন্যা আছে, বড় হয়ে নায়িকা হবে) রোষানলে পড়ে অন্যায়ের কাছে হার না মেনে তার পোষা গুন্ডার গুলি খেয়ে মারা যাবেন বাবা, বসতভিটায় দাউদাউ করে জ্বলতে থাকবে আগুন। ছোট ছেলেকে কোলে করে একদিকে ছুটে যাবেন মা, অন্যদিকে বড় ছেলে। হারিয়ে যাবে দুই ভাই। গল্পের শেষে অথবা মাঝামাঝিতে দুই ভাই-ই (এদের একজন নায়ক) তখন অনেক বড়। দেখা-সাক্ষাৎ হলেও পরিচয় নেই। মনের আনন্দে একদিন এক ভাই সেই ছোট্টবেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে গাওয়া গানটি গেয়ে উঠবে আর অন্য ভাই সেটি শুনে দু-একবার ফ্লাশব্যাকে চলে যাবে আর বুঝতে পারবে এটাই তার হারিয়ে যাওয়া ভাই। তারপর দুর থেকে ‘ভা-ই-য়া’ বলে ছুটে এসে আলিঙ্গনাবদ্ধ হবে। আবহ সংগীতের সঙ্গে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে সংলাপ ছোড়াছুড়ি চলবে কিছুক্ষণ। বাংলা চলচ্চিত্রের এই যে দুর্দান্ত মিলন, এর মূলে রয়েছে একটি গান−‘সিগনেচার টিউন’।
আজ এই একুশ শতকে এসে ‘সিগনেচার টিউন’-এর কাজটা করে দেয় ‘ফেইসবুক’। স্কুল, কলেজের দস্যিপনার সাথী, ছোট্টবেলায় হারিয়ে যাওয়া চৌধুরীদের ফুটফুটে কন্যা আর হাঁটুবেলার বন্ধুদের আজকাল অনেকেই খুঁজে বেড়ান ফেইসবুকে।
ফেইসবুকের জন্ন ইতিহাসও কিন্তু সেই খোঁজাখুঁজিরই ইতিহাস। ২০০২ সালের কথা। হার্ভার্ড পড়ুয়া মার্ক জুকারবার্গ বেশ মনোযোগ দিয়েই সে সময় ব্লগ লিখতেন। ব্লগের বিষয়বস্তু ছিল এক বালিকা। কিন্তু মার্ক অচিরেই বুঝে গেলেন, শুধু ব্লগ লিখে কাজ হবে না, এমন একটা কিছু করতে হবে যা তাঁকে নিয়ে যাবে ওই বালিকার পরানের গহিনে। ২০০৩ সালে মার্ক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। খেয়ালের বশেই ‘ফেইসম্যাশ’ নামে তৈরি করলেন এমন একটি নেটওয়ার্ক যাতে হার্ভার্ডের একই বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের নিজের ছবি রাখতে পারে আর সেই সব ছবিকে ভাসিয়ে দিতে পারে মন্তব্যের বন্যায়। এই ফেইসম্যাশ থেকে দ্য ফেইসবুক, সেখান থেকে শুধুই ফেইসবুক। গুগল, মাইক্রোসফটের ২০০, ৩০০ কোটি ডলারের হাতছানিকে উপেক্ষা করে শুধুই এগিয়ে চলার ইতিহাস তাঁর।
আরে, এফবিইং (ফেইসবুকিং) ছাড়া আজকাল স্নার্ট হওয়া যায় নাকি? তাই তো বাংলাদেশের কম্পিউটার আর মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা আজ যেন ফেইসবুক প্রজন্ন। এ প্রজন্েন আছে ছেলে বুড়ো খোকা সবাই। শিক্ষার্থী থেকে করপোরেট ব্যক্তিত্ব, শিল্পী-সাহিত্যিক, খ্যাত-অখ্যাত সবার যেন সমাবেশ এই ফেইসবুকে। নিজের শিরোনাম (স্ট্যাটাস) বার্তায় সেই প্রজন্েনর মনের ভাবনাটা পলকা কথায় ছড়িয়ে পড়ে ইউনিকোডের সুসজ্জিত বিন্যাসে। ঢাকায় বৃষ্টি হলে তাই হাজারটা স্ট্যাটাসে বৃষ্টিবন্দনা দেখে বহুদিন দেশ ছাড়া জার্মানিতে পড়তে যাওয়া ছেলেটি যখন স্ট্যাটাস দেয়, ‘আহা কত দিন ঝুম বৃষ্টি দেখি না’, সেই হাহাকার ছড়িয়ে পড়ে একযোগে। কেন তার হাহাকার হয়ে ওঠে আমার হাহাকার? কারণ সে আমার ফেইসবুক বন্ধু। আমার, আপনার বন্ধু কজন এটা জিজ্ঞেস করলে চট করে বলে ফেলা বেশ মুশকিল, অনেকক্ষণ ধরে হাতের গিঁট গুনতে হবে। কিন্তু ফেইসবুকের কল্যাণে বন্ধু এখন গাণিতিক সংখ্যায় প্রকাশের বিষয়। কারও বা ৯৮ কারও বা ২৫৯৮। সবারই এক পরিচয়−ফেইসবুক বন্ধু। ফেইসবুকের হিসাবমতে গড়ে সবার বন্ধুসংখ্যা ১২০। আর শুধু ঢাকা শহরেই ফেইসবুকের সদস্য এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি।
আচ্ছা ঠিক আছে, নতুন বন্ধুতে আপনার খুব একটা আগ্রহ নেই। তাহলে কিসে আগ্রহ আপনার? নতুন ব্যবহারকারী হিসেবে ফেইসবুকে আপনি করবেনটা কী! মুখ ফুটে বলতে হবে না। মাউসের ক্লিকে শুধু খুঁজে নিন ৫২ হাজার প্রোগ্রাম থেকে আপনার পছন্দেরটি। আরে কত যে মজা সেখানে। ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই। লাইভ অ্যাপ্লিকেশন নামে একটা প্রোগ্রাম দিয়ে পোষা প্রাণী পাওয়া যায়। উহু পোষ্য হিসেবে ছোট্ট হাতি গাবলু আর কুকুর গুল্লুকে শুধু শোকেসে রেখে দিলেই হবে না, নিয়মিত যত্ন-আত্তি নিতে হবে। যত্ন না নিলে, না খাওয়ালেই সপ্তাহ খানেকের ভেতরই পটল তুলবে সেগুলো।
বগুড়া মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্রী সুমির প্রিয় প্রোগ্রাম বিভিন্ন ধরনের কুইজ। সে কবে মারা যাবে, কবে তার বিয়ে হবে, বিয়ে হলে বাচ্চাকাচ্চা কয়টি হতে পারে−এসব দেখেই নাকি তার অনেক মজা লাগে। পাঁচটি অ্যাডজেকটিভ দিয়ে একজনকে ডেসক্রাইব করার ‘আই ডেসক্রাইব’ অনেক প্রিয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ুয়া রিনথির। কয়েক বাক্যেই একজন সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায় সেখানে। তবে সর্বসম্মতিক্রমে ফেইসবুকের সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ‘স্ট্যাটাস’। ব্যক্তিজীবনে আপনার আশানুরূপ স্ট্যাটাস না থাকতে পারে। কিন্তু ফেইসবুকের দুনিয়ায় আপনি নিজেকে সাজাতে পারেন বিচিত্র স্ট্যাটাসে।
আনন্দ ছাড়া জীবন অর্থহীন, ফেইসবুকেরও একই মত। ফেইসবুকের প্রতি ক্লিকেই সিরিয়াস সব বিষয়ের পাশাপাশি ছড়িয়ে আছে রাশি রাশি আনন্দ। বেশ কয়েক মাস আগে নাট্যকার আনিসুল হক টেলিভিশনের জন্য লিখেছিলেন নাটক ফেইসবুক। তরুণ কবিদের কবিতায় ঢুকে যাচ্ছে ফেইসবুক, ফেইসবুকে লেখা হচ্ছে ফেইসবুককাব্য। এমনকি একজনের স্ট্যাটাসের একটি বাক্য ধরে একের পর এক বহুজন মিলে লিখে ফেলছেন বড়সড় কাব্য। এসব মিলিয়েই ফেইসবুক আমাদের দেশে শুধু ভার্চুয়াল দুনিয়ায় না থেকে ঢুকে পড়েছে শিল্প, সংস্কৃতি, কবিতা আর নাটকে।
যে ছবির অ্যালবাম এত দিন আলমারিবন্দী হয়ে ছিল, ফেইসবুকের কল্যাণে সেটা এখন প্রদর্শনী কক্ষে। অনেকে ছবিই তুলছেন ফেইসবুকে ‘আপ’ করবেন এই কথা মাথায় রেখে। সব ধরনের ছবিই তুলে ধরতে পারেন আপনি সেখানে−সিরিয়াস ফটোগ্রাফি, কোথাও ঘুরতে যাওয়ার ছবি অথবা নিছকই মজার ছবি। আর যদি ছবি না হয়ে ভিডিও হয়। চিন্তা নেই, তারও ব্যবস্থা আছে। প্রতি মাসে সাড়ে আট হাজার কোটি ছবির পাশাপাশি আট কোটি ভিডিও প্রকাশকরে ব্যবহারকারীরা।
বন্ধুদের জন্নদিন মনে করিয়ে দেবে ফেইসবুক। তিন দিন আগে থেকে জানাতে থাকবে কবে কার জন্নদিন। হালকার ওপর দিয়ে সারতে চাইলে ফেইসবুকের গিফট প্রোগ্রাম থেকেই পাঠিয়ে দিতে পারবেন ছোট্ট, সুন্দর একটা পুতুল। এই গিফটেরও আছে রকম ফের। ‘গ্রোয়িং গিফট’ থেকে পাঠানো উপহারগুলো দিন যাবে আর নিজ থেকেই বড় হতে থাকবে। মনে করুন কাউকে আপনি একটি বীজ উপহার পাঠালেন। কয়েক দিনের ভেতরই সেই বীজ গাছ হয়ে ফুল ফুটে সৌরভ ছড়াতে থাকবে বন্ধুর প্রোফাইলে। যে সময়টা আপনি অনলাইনে বসেছেন সে সময়ে কোন কোন বন্ধু অনলাইনে আছেতা যেমন
বাইরের আবহাওয়া এখন চরম গরম। সেই গরমকে মাথায় রেখে এসি না হোক চলুন একটু ফেইসবুকের ফ্যান ক্লাবের দুনিয়ায় একটু উঁকি মারি। কার কার ভক্ত আপনি? অমুকের অভিনয়ের তমুকের লেখার বা অমুক পণ্যের। হয়ে যান তাদের ফ্যান।
এবার একটু কাজের কথায় আসি।
সদ্য স্মাতক ইকবাল হোসেন। তিন বন্ধু মিলে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘রেসস্কেচ’ নামের একটি পরামর্শক সংস্থা। ফেইসবুকই তাঁদের অফিস, ভার্চুয়াল অফিস। সেখানে প্রতিষ্ঠানের নামে একটি গ্রুপ খুলে ‘ডিসকাশন ফোরাম’-এ আলোচনার মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের কর্মকান্ড। এই তো সেদিন একজনকে দেখা গেল লিখিত স্ট্যাটাসের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জন্য লোক খুঁজছেন একজন। পণ্যের প্রচার থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সবই আছে ফেইসবুক দুনিয়ায়।
তাই তো সারা বিশ্বে ফেইসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ২০ কোটিরও বেশি। পরিসংখ্যান বলে ২০ কোটির মধ্যে তিন কোটি ব্যবহারকারীই মোবাইল ফোন থেকে ফেইসবুক ব্যবহার করছে। কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এমন প্রশ্ন তুলে অনেক অফিস-আদালত ফেইসবুকের ব্যবহার বন্ধ করে রেখেছে। সেই সঙ্গে সিরিয়া, ইরানসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই ফেইসবুক ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও ফেইসবুক দুনিয়ায় প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে হাজার হাজার নতুন ব্যবহারকারী। আরে যোগাযোগ আর আনন্দের এমন এক মাধ্যম থেকে কার সাধ্য মানুষকে দুরে রাখে?
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ফেইসবুকে আপনার আপ করা সব ছবি, ভিডিও বা লেখা সবই কিন্তু ফেইসবুকের সম্পত্তি। ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ চাইলেই সেসব তাদের যেকোনো কাজে লাগাতে পারে। বিশ্বাস না হলে তাদের টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন অংশে আগেই একটু চোখ বুলিয়ে নিন। আর ফেইসবুকে কিন্তু রয়েছে অনেক ছদ্মবেশী, তাদের থেকেও সাবধান!

ফেইসবুকের সদস্য হবেন যেভাবে
ফেইসবুকের বন্ধু হতে হলে আপনার থাকতে হবে একটি কার্যকর ই-মেইল ঠিকানা। তারপর www.facebook.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে ঢুকে সেই ই-মেইল ঠিকানা দিয়ে একটা পাসওয়ার্ড দিয়ে দিন। অনেকেই যে ভুলটা করে থাকে সেটা হলো ফেইসবুকের পাসওয়ার্ড হিসেবে নিজের ই-মেইল ঠিকানার পাসওয়ার্ডই দিয়ে দেয়। সেটার একদমই প্রয়োজন নেই, বাধ্যতামূলকও নয়। চাইলে আপনি ফেইসবুকের জন্য আলাদা একটা পাসওয়ার্ড দিতে পারেন এবং সেটাই অনেক বেশি নিরাপদ। এবার সার্চে গিয়ে আপনার বন্ধু-বান্ধবদের খুঁজে বের করে তাদের যোগ (অ্যাড) করুন আর নিজের মতো সাজিয়ে নিন নিজের অ্যাকাউন্ট।

মনিটরেই মাউস-কিবোর্ড আসছে উইন্ডোজ টাচ


উইন্ডোজ মাল্টিটাচ বা ছোঁয়ার মাধ্যমে নির্দেশ দেয়ার ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে উইন্ডোজে। অ্যাপলের আইফোন ব্যবহারকারীরা যেভাবে ছোঁয়ার মাধ্যমে নির্দেশ দিয়ে ফোন ব্যবহার করে, সেভাবে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করবে। উইন্ডোজের ভেতরে টাচস্ক্রিন স্বয়ংক্রিয় তৈরি থাকবে।
মাইক্রোসফট বিশ্বাস করে, মাল্টিটাচ পিসির খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র, সাধারণের জন্য তৈরি স্থান, ল্যাপটপ এবং কিচেন পিসিতে জনপ্রিয় হবে।
অনেক উইন্ডোজ কম্পিউটার ও পণ্যতে প্রাথমিকভাবে টাচ বা ছোঁয়ায় কাজ করবেÑ এ রকম উপাদান যোগ করা হচ্ছে এবং অ্যাপল তার স্নো লিওপার্ড ওএস বা অপারেটিং সিস্টেমে টাচ বা ছোঁয়ায় কর্ম সারা এ বিষয়টি যোগ করেছে।
স্বল্প পরিমাণে মাল্টিটাচ পিসি এরই মধ্যে বাজারে এসেছে। এর মধ্যে আছে এইচপির টাচস্মার্ট এবং ডেলল্যাটিচউড এক্সটি। এখন মাইক্রোসফট আশা করছে উইন্ডোজ সেভেন একটি নতুন যন্ত্র তৈরি করবে, এ যন্ত্রে টাচ বা ছোঁয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন নির্দেশ দেয়ার বিষয়টি আরো এগিয়ে যাবে।
অ্যাপলের নতুন প্রজন্মের ল্যাপটপ একটি কাচের ট্রাকপ্যাড তৈরি করেছে, যা মাল্টিটাচ বা বিভিন্ন ছোঁয়ায় কাজ করবে
মাইক্রোসফট একটি উইন্ডোজ টাচ লোগো প্রোগ্রাম চালু করেছে। নতুন ধারায় যন্ত্রকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে তা এর মাধ্যমে বোঝা যাবে।
উইন্ডোজ টাচ বিভিন্ন ধরনের নিয়ন্ত্রণ রাখবে। যেমন ট্যাপ, ডাবল ট্যাপ, ড্রাগ, স্ক্রল, জুম, ফ্লিপ এবং রোটেট (যার মানে কোনো কিছু দেখার জন্য টোকা দেয়া বা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কাজ করার সুবিধা) সামনে পেছনে করা, কোনো কিছু বড় ছোট করা, বা মনিটরে যা থাকবে তাকে ঘোরানো, এসব করা যাবে কেবল ছোঁয়ার মাধ্যমে।
যে দলটি টাচ প্রোগ্রামকে উন্নত করার জন্য কাজ করছে, তারা উইন্ডোজ সেভেন ইঞ্জিনিয়ারিং ব্লগে একটি লেখা পোস্টিং করেছে। সেখানে তারা উল্লেখ করে অল্প সংখ্যক মানুষই হয়তো টাচের ব্যবহার থেকে পালাতে চাইবে। তারা প্রায়ই এমন মন্তব্য করে এতে মনিটরের ওপর আঙুলের ছাপ পড়ে যাবে।
যখন হার্ডওয়্যার আরো উন্নত হবে, তখন টাচের আরো বিস্তৃত ব্যবহার হবে।
মাইক্রোসফট সারফেস টেবিলের মাধ্যমে কম্পিউটারের উন্নয়ন থেকে পাওয়া শিক্ষা নানাভাবে উইন্ডোজ টাচের সঙ্গে যুক্ত হবে।
মাইক্রোসফটের ক্রিস বেরনার্ড বিবিসিকে বলেন, উইন্ডোজ সেভেন টাচ ব্যবস্থাকে মূলধারায় নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। যখন এ বিষয়টি উইন্ডোজ সেভেনে বিভিন্ন যন্ত্রে চালু হবে, তখন টাচ শব্দের মানেই পাল্টে যাবে।
ভঙ্গি এবং টাচ বা ছোঁয়া কম্পিউটারের সবচেয়ে বড় দুটি পরিবর্তন আনবে, বিশেষ করে যেভাবে আমরা কম্পিউটারের সঙ্গে যোগাযোগ করি, সে ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনবে। এ বিষয়টি তখনই ঘটতে শুরু করে, যখন কিবোর্ড এবং মাউসের ব্যবহার শুরু হবে।
মাইক্রোসফট বলছে, উইন্ডোজ টাচ কেবল টাচ বা ছোঁয়ার চেয়েও উইন্ডোজের জন্য বড় কিছু হবে।
ব্লগে লেখা হয়েছে, আমরা নিশ্চিত করতে চাই ব্যবহারকারী যেন টাচের মাধ্যমে উইন্ডোজ সেভেনের পুরো অভিজ্ঞতা পায়। টাচের জন্য অনেক প্রোগ্রামকে উন্নত করা হয়েছে, যেমন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এবং উইন্ডোজ মিডিয়া সেন্টার। এমন প্রোগাম করা হয়েছে যে, সেটি আকস্মিক টাচ বা ছোঁয়ায় বদলে বা পাল্টে না যায়। এ উপাদানগুলোয় টাচ বা ছোঁয়ার ওপর কিছু নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

টাইমের চোখে সেরা দশ ওয়েব সাইট

শেষ হতে চললো ২০০৭ সাল। বছরের শেষে এসে প্রতি বছরের মত ‘টাইম’ (www.time.com) এবারও ৫০ টি ইভেন্টে সেরা ১০ নির্বাচন করেছে। এর মধ্যে সেরা দশ ওয়েব সাইটের মধ্যে রয়েছে ফেসবুকের ওয়েব সাইট লেমন্যাড ডট কম। সেরা দশটি ওয়েব সাইটের তালিকা এবং সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো।
০১) www.lemonade.com: লেমন্যাড ডট কম অর্থ উপার্জনের ওয়েব সাইট। এই রেজিষ্ট্রেশন করে নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপনের তালিকা আপনার ওয়েব সাইট, ব্লগ বা ব্যাক্তিগত প্রোফাইলে রাখলে কোন ভিজিটর সেই লিংকে ক্লিক করে উক্ত পণ্য কিনলে রেজিষ্ট্রেশনকারী উক্ত পণ্যের উপরে নির্ধারিত হারে কমিশন পাবে।
০২) www.asksunday.com: আসক্‌ সানডে ডট কম হচ্ছে কাল্পনিক সহকারী। এটি মূলত ধনী এবং বিখ্যাত ব্যাক্তি কথা ভেবে তৈরী করা হয়। এখানে মাসিক খরচ ২৯-৪৯ ডলার। এই ডলারের বিনিময়ে ব্যাক্তিগত প্রায় সকল সাহায্যই পাওয়া যায় এই কাল্পনিক সহকারীর কাছ থেকে ।
০৩) www.wink.com: উইংক ডট কম বন্ধু খোঁজার সামাজিক ওয়েব সাইট। এখানে প্রায় ২০ কোটি ইউজার রয়েছে।
০৪) www.techpresident.com: টেক প্রোসিডেন্ট ডট কম হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারনার ওয়েব সাইট। এখানে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। আর রয়েছে প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের ব্যাক্তিগত সকল তথ্য। এটা মূলত যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ওয়েব সাইট।
০৫) www.goodreads.com: গুড রিডস ডট কম বই পড়ার ওয়েব সাইট। এই সাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন লাইব্রেরী ৯,০০০,০০০ এর মত বই অনলাইনে পড়ার যাবে। এছাড়া লেখক, বই বা শিরোনাম হিসাবে বই খোঁজা যাবে এবং বই বিনিময় করা যাবে।
০৬) www.menupages.com: মেনুপেজ ডট কম হচ্ছে বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টের মেনু (খাদ্য তালিকা) খোঁজার ওয়েব সাইট। এখানে আটটি সিটির (নিউওয়ার্ক, সান ফ্রান্সিসকো বা লগ এঞ্জেলাসের মত বড় বড় সিটি) প্রায় ২৫,০০০ খাদ্য তালিকা রয়েছে। এই সাইটের মাধ্যমে এসকল রেষ্টুরেন্টে খাবারের অর্ডার করা যাবে।
০৭) www.dontforgetyourtoothbrush.com: ডন্ট ফরগেট ইয়োর টুথব্রাশ ডট কম মূলত ভ্রমনের ওয়েব সাইট। এখানে প্রমোদভ্রমনের বিভিন্ন যায়গার তথ্যসহ রয়েছে ভ্রমনের পূর্বে সঙ্গে কি কি নিবেন, কিভাবে যাবে, কোথায় থাকবেন বা আনুসাঙ্গিক বিভিন্ন তথ্যের খুটিনাটি সবকিছুই।
০৮) www.volunteermatch.com: ভলান্টিয়ার ম্যাচ ডট কম যুক্তরাষ্ট্রে বয়স্কদের সহকারী খোঁজার ওয়েব সাইট। বয়স্কদের একাকিত্ব দূর করতে তাদের বয়স, ঠিকানা, পছন্দ ইত্যাদি অনুসারে ভলান্টিয়ার বা সহকারী খুঁজে দেবে এই সাইট।
০৯) www.fatsecret.com: ফ্যাট সীকরিট ডট কম মূলত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ওয়েব সাইট। এখানে রয়েছে স্বাস্থ্য কমানোর (স্লিম হওয়ার) সহজ পদ্ধতি। খাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছূই রয়েছে ধারাবহিক বর্ণনা রয়েছে এই সাইটে। এছাড়াও মোটা হবার পদ্ধতিও রয়েছে। ফ্রি এই সাইটে আরো বেশী ফিচার যোগ করা হবে।
১০) www.indeed.com: ইনডিড ডট কম হচ্ছে চাকরির ওয়েব সাইট। এটাকে চাকরির সার্চ ইঞ্জিন বলা যেতে পারে। এখানে জব বোর্ড, নিউজপেপার এবং কোম্পানী হিসাবে চাকরি খুঁজে বেড় করা যাবে। এছাড়াও আরএসএস ফেডের মাধ্যমে নতুন চাকরির খবর পাওয়া যাবে ইমেইলে